তারুণ্য ধরে রাখার খাবার গুলোর মধ্যে কোন খাবারটি খাওয়া উচিৎ এবং কোন খাবারটি খাওয়া উচিৎ নয় তা নিয়ে পুরুষ মানুষ একটু কমই মাথা ঘামিয়ে থকেন।
অধিকাংশ সময়ই পুরুষ মানুষকে জীবনের প্রয়োজনে বা কাজের কারণে ঘরের বাইরে থাকতে হয়। এ সময় অনিয়মিত খাবার খাওয়ার কারণে শারীরিক বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়ে থাকে। বাইরে থাকা এবং অনিয়মিত খাবার কারণে যেসব সমস্যাগুলো বেশি ভুগতে দেখা যায় তাহলো গ্যাস্ট্রিক আলসার এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার।
এসব সমস্যাগুলো থেকে বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই বুঝে শুনে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। সুস্থ থাকার জন্য কষ্ট করে হলেও তৈরি করা উচিত ভালো খাদ্যাভ্যাস। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক এমন পাঁচটি খাবার সম্পর্কে যা প্রত্যেক পুরুষের নিয়মিত খাওয়া উচিত।
টমেটো:
তারুণ্য ধরে রাখার খাবার গুলোর মধ্যে টমেটোকে সুপারফুড বলা হয়ে থাকে। টমেটোর অনেক পুস্টিগুনের জন্যই করা হয়েছে এই নামকরণ। টমেটোতে রয়েছে ‘লাইকোপিন’। লাইকোপিন কলোরেক্টাল ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার, হৃদপিণ্ডের সমস্যা এবং দেহের কলেস্টোরল কমাতে বেশ সহায়ক একটি সবজি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই টমেটো রাখা উচিৎ।
গোটা শস্য:
গমের আটা লাল চাল জাতীয় গোটা শস্য স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার, বায়োটিক এবং ফোলাইট। এ সকল খাবার গুলোর ভিটামিন বি মানব জীবনের বিষন্নতা দূর করার জন্য ভীষণ সহায়ক এছাড়া বায়োটিক চুল পড়া রোধে ভীষণ কার্যকর। শুধু তাই নয় ফোলাইট পুরুষের যৌন স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে।
রসুন:
রসুনের অফুরন্ত গুণাগুণ থাকা সত্ত্বেও কাঁচা রসুন খাওয়ার কথা অনেকেই চিন্তা করতে পারেনা। বিশেষ করে ছেলেরা তো কাঁচা রসুন একেবারেই সহ্য করতে পারেনা। কিন্তু প্রতিদিন কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করলে হৃদপিণ্ড জনিত সমস্যা থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন।
কেননা দেহের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কাঁচা রসুনের ভূমিকা ব্যাপক।
ব্রকলি:
কাঁচা রসুনের মত ব্রকলিও অনেকের কাছে অপছন্দনীয় একটি খাবার। কিন্তু ব্রকলি জাতীয় খাবার যেমন, বাঁধাকপি, পাতাকপি, অঙ্কুরিত সিমের বীজ ইত্যাদিতে রয়েছে সালফোরাফেইন, যা ক্যান্সার চিরতকারী উপাদানে পরিপূর্ণ। এই উপাদানটি মূত্রথলির ক্যান্সার, পাকস্থলীর ক্যান্সার এবং কলোরেস্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
ডিম:
পুরুষের অনেক সমস্যার মধ্যে একটি কমন সমস্যা চুল পড়ে যাওয়া। আর পুরুষদের মাথাতেই টাকের সমস্যা বেশি দেখা যায়। ডিমের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে। ডিমের প্রোটিন চুল পড়া রোধ করে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে। ডিমের কুসুম দেহের আয়রনের অভাব দূর করে।
তারুণ্য দীর্ঘদিন ধরে রাখতে হলে শুধু রূপচর্চাই যথেষ্ট নয়! প্রয়োজন অভ্যাসের পরিবর্তন ও তারুণ্য ধরে রাখার খাবার।
One Response